Wellcome to National Portal
মেনু নির্বাচন করুন
Main Comtent Skiped

Title
Control and Preventive measure of Lumpy Skin Disease
Details

লাম্পি স্কিন ডিজিজ ভাইরাস দ্বারা সৃষ্ট একটি চর্মরোগ যা শুধুমাত্র গরু ও মহিষে হয়। গবাদিপ্রাণিতে আফ্রিকার জাম্বিয়াতে এ রোগটি ১৯২৯ সালে প্রথম দেখা যায়। বাংলাদেশে ২০১৯ সালে এ রোগটি প্রথম শনাক্ত হয়, যা দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়েছে।

রোগের লক্ষণ:
• প্রথম পর্যায়ে আক্রান্ত প্রাণীর জ¦র ১০৪-১০৬ ডিগ্রি ফারেনহাইট পর্যন্ত হয়, ব্যাথা, খাবার গ্রহণে অরুচি দেখা দেয়।
• আক্রান্ত প্রাণীর শরীরের বিভিন্ন জায়গায় গোলাকার গুটি বা ফোস্কা দেখা দেয়।
• পায়ে এবং শরীরের নিম্নাংশে ফুলে পানি জমা হয় এবং প্রাণি খুঁড়িয়ে হাটে।
• শেষ পর্যায়ে কয়েকটি গুটি বা ফোস্কা ফেটে যায় এবং ক্ষত সৃষ্টি হয়।

রোগটি যেভাবে ছড়ায়:
• মশা ও মাছি, আঠালী এবং মাইটের মাধ্যমে রোগটি দ্রুত এক প্রাণী হতে অন্য প্রাণীতে ছড়ায়।
• আক্রান্ত প্রাণী এক স্থান হতে অন্য স্থানে পরিবহনের মাধ্যমে রোগটি ছড়াতে পারে।
• এছাড়া আক্রান্ত প্রাণীর লালা, দুধ এবং আক্রান্ত প্রাণির সংস্পর্শের মাধ্যমেও রোগটি ছড়াতে পারে।
• আক্রান্ত প্রাণী পরিচর্যাকারী, চিকিৎসক বা ভ্যাক্সিন প্রদানকারীর মাধ্যমেও রোগটি অন্য সুস্থ্য প্রাণিতে ছড়াতে পারে।
• আক্রান্ত প্রাণীর ব্যবহৃত যন্ত্রপাতির মাধ্যমে রোগটি অন্য প্রাণীতে ছড়াতে পারে।

রোগের কারণে ক্ষতি:
• আক্রান্ত গাভীর দুধের উৎপাদন কমে যায়, গর্ভপাত হয়, ওজন অনেকাংশে কমে যায় এমনকি বন্ধ্যাত্ব হতে পারে।
• চামড়ার গুণাগুণ নষ্ট হয়ে যায় এবং মৃত্যুর হার ১০-১৫%। সঠিক পরিচর্যা ও যত্ন নিলে মৃত্যুর ঝুঁকি নেই।

রোগ নিয়ন্ত্রণে পরামর্শ:
• খামার পরিস্কার পরিচ্ছন্ন রাখা এবং স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে।
• খামারে জীব নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, কীটপতঙ্গ, মশা-মাছি নিয়ন্ত্রণ করা।
• খামারে আক্রান্ত প্রাণীর জন্য মশারির ব্যবস্থা করা এবং আক্রান্ত প্রাণী দ্রুত অন্য স্থানে সরিয়ে পৃথকভাবে চিকিৎসা ও পরিচর্যা করা।
• আক্রান্ত অঞ্চলে প্রাণীর চলাচল নিয়ন্ত্রণ করা এবং সুস্থ না হওয়া পর্যন্ত চারণ ভূমিতে না নেওয়া।
• আক্রান্ত প্রাণির ক্ষতস্থান চিংচার আয়োডিন , পভিসেপ অথবা ০.১% পটাসিয়াম পার ম্যাঙ্গানেট দ্বারা সকাল বিকাল ধৌত করা।

চিকিৎসা :
• যেহেতু ভাইরাস দ্বারা এ রোগ সৃষ্টি হয় কাজেই কোন এন্টিবায়োটিক এ রোগে কোন কাজ করে না, উপরন্তু এন্টিবায়োটিক ব্যবহারের ফলে প্রাণি দুর্বল হয়ে পড়ে।
প্রতি ১০০ কেজি দৈহিক ওজনের জন্য: প্যারাসিটামল ট্যাবলেট- ২টি, খাবার সোডা – ৫০ গ্রাম, নিমপাতা বাটা-২৫ গ্রাম, লবণ-২৫ গ্রাম, গুড়-৫০ গ্রাম প্রতি লিটার প্রানিতে একত্রে মিশ্রিত করে সকাল বিকাল ৭দিন সেবন করালে লাম্পি স্কিন ডিজিজ থেকে উপশম পাওয়া যায়।

প্রতিরোধ
• গোট পক্স ভ্যাক্সিন প্রাণীর ওজনভেদে ৩ গুণ বেশি হারে দেয়া হলে এ রোগ প্রতিরোধ হয়।
• আক্রান্ত প্রাণি সুস্থ্য হয়ে যাওয়ার পর তার শরীর থেকে রক্ত নিয়ে প্রতি ১০০ কেজি ওজনের জন্য ১০ সিসি সুস্থ্য গরুর মাংসে ৭ দিন পর পর ৩ বার প্রয়োগ করলে এ রোগ প্রতিরোধ হতে পারে।

Attachments
Image
Publish Date
27/07/2023
Archieve Date
30/09/2024